এবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর দেশটির পশ্চিমবঙ্গের স্থলবন্দরগুলোতে আটকা পড়ে পেঁয়াজবোঝাই অন্তত ১০০টি কার্গো ট্রাক। বাংলাদেশে ঢুকতে না দেওয়ায় কার্গো ট্রাকগুলোতে থাকা প্রায় তিন হাজার টন পেঁয়াজ দ্রুত পচে যাচ্ছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে পেঁয়াজ বোঝাই অন্তত ৩০টি কার্গো ট্রাক। প্রতিটি ট্রাকেই রয়েছে হাজার বস্তা পেঁয়াজ। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকগুলো ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে আটকে রয়েছে। এগুলোতে থাকা প্রায় ৪৫০ টন পেঁয়াজ পচে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলো থেকে কিছু পেঁয়াজ স্থানীয় খোলাবাজারে কম দামে বিক্রির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, দিন যত যাবে পচন ততই তীব্রতর হবে এবং ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে। তাই ক্ষতি কমিয়ে নিতে নামমাত্র দামে খোলাবাজারে পণ্যটি বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, এই চিত্র শুধু ঘোজাডাঙ্গায় নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে একই। রাজ্যের স্থলবন্দরগুলোতে আনুমানিক তিন হাজার টন পেঁয়াজ আটকে রয়েছে। এ বিষয়ে ঘোজাডাঙ্গা আমদানি-রপ্তানি সংস্থার কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি।
এদিকে পাঞ্জাবের বাসিন্দা ও মহারাষ্ট্রের ট্রাকচালক সুকদেব সিং জানান, গত ৭ ডিসেম্বর থেকে সীমান্তে আটকে রয়েছেন তিনি। তার সব পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করলে তারা বলেছে, রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এখন বাংলাদেশে পেঁয়াজ যাবে না।
পেঁয়াজবোঝাই আরেকটি ট্রাকের চালক অতনু বলেন, আমি গত পাঁচদিন ধরে ট্রাক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বাংলাদেশে কোনো পেঁয়াজ ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই এখন সব মালামাল গোডাউনে ফেরত নিয়ে যেতে হবে।
এদিকে স্বদেশ মণ্ডল বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ কারণে সীমান্তে পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক আটকে যায়। এতে বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশে শিগগিরই পেঁয়াজ পাঠানোর ব্যবস্থা না করা গেলে ৯০ শতাংশই পচে যাবে।